শুরুটা হয়েছিল বেশ দেখেশুনে। তবে ইনিংস শেষে বাংলাদেশের পুঁজিটাকে বেশ হৃষ্টপুষ্টই মনে হচ্ছে। সিলেটে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে লিটন দাসের সেঞ্চুরিতে ভর করে যে ৬ উইকেটে ৩২১ রানের বড় সংগ্রহই দাঁড় করিয়েছে টাইগাররা। অর্থাৎ জিততে হলে জিম্বাবুয়েকে করতে হবে ৩২২ রান।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে জুটি গড়েই এগিয়েছে বাংলাদেশ। একের পর এক জুটিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন লিটন দাস। ওপেনিংয়ে তামিম ইকবালের সঙ্গে ৬০ রানের জুটি গড়েন লিটন।
সেই ‘বুমবুম তামিম’কে অবশ্য এখন দেখাই যায় না বলতে গেলে। যদিও তরুণ সঙ্গী ওপেনারদের জন্যই নিজের সেই আগ্রাসী ব্যাটিংকে বিসর্জন দিয়েছেন তিনি, তবে দিন শেষে রান পাওয়াটাই বড় কথা। তামিম কিন্তু ধরণ বদলে মোটেই সফল হচ্ছেন না।
গত ৬ ওয়ানডেতে তার কোনো ফিফটি নেই। ফিফটি পেলেন না এবারও। সবগুলো ইনিংসেই স্ট্রাইকরেট একশর নিচে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আজ (রোববার) মাত্র ৫৫.৮১ স্ট্রাইকরেটে ২৪ রান করেছেন এই বাঁহাতি।
অতি রক্ষণাত্মক খেলতে গিয়ে তামিম আউট হয়েছেন মাদেভেরের ঘূর্ণিতে এলবিডব্লিউ হয়ে। রিভিউ অবশ্য নিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। ব্যর্থতার খাতা বড় করেই ফিরেছেন সাজঘরে।
যদিও লিটন দাসের সঙ্গে তার ওপেনিং জুটিটি খারাপ ছিল না। ১২.৫ ওভারে তারা যোগ করেন ৬০ রান। কিন্তু তাতে লিটনের অবদানই বেশি। তামিম শুধু খেলেই গেছেন, রানের দিকে মনোযোগ ছিল না। শেষতক রক্ষণাত্মক ব্যাটিংয়ের দায় চুকিয়ে ফিরেছেন সাজঘরে।
তারপর লিটনের সঙ্গে জুটি গড়ে ফিরেন নাজমুল হোসেন শান্তও। তিনিও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৩৮ বলে ১ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় করেন ২৯ রান।
তৃতীয় উইকেটে ৪৩ রানের জুটি গড়ে ফেরেন মুশফিকও। ১৯ রান করেন দলের মিডল অর্ডারের এই ভরসা। তবে তার আগেই ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে ফেলেন লিটন, ৯৫ বলে।
সেঞ্চুরির পর আরও বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন লিটন। তিরিপানোর করা ইনিংসের ৩৬তম ওভারে ৩টি বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। পরের ওভারেও ৯০ মিটার বড় এক ছক্কা লিটনের, কিন্তু ওই ছক্কা মারতে গিয়েই হ্যামস্ট্রিংয়ে টান পড়ে তার। চোটের কারণে বেরিয়ে যেতে হয় মাঠ থেকেই, ১০৫ বলে ১৩ চার আর ২ ছক্কায় লিটন তখন ১২৬ রানে।
এরপর ঝড়ো ব্যাটিং করে সাজঘরে ফিরেছেন মোহাম্মদ মিঠুন আর মাহমুদউল্লাহ। মিঠুন ৪১ বলে ৫ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় কাটায় কাটায় ফিফটি করে আউট হন। মাহমুদউল্লাহ করেন ২৮ বলে ৩২।
শেষদিকে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ব্যাট হাতে ছোটখাটো এক তাণ্ডব চালিয়েছেন। ১৫ বলে ৩ ছক্কায় ২৮ রানের হার না মানা এক ইনিংস খেলেন চোট কাটিয়ে দলে ফেরা এই অলরাউন্ডার।
জিম্বাবুয়ের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন ক্রিস্টোফার এমপুফু। ২টি উইকেট নিয়েছেন এই পেসার।
পাঠকের মতামত: